বিশ্ব অর্থনীতি ধীরে ধীরে অচল হয়ে পড়ছে। খেটে খাওয়া মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছে। বিশেষত মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো সীমাহীন সংকটে পড়ছে। এমতবস্থায় বিশ্বের শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলোও হিমশিম খাচ্ছে। বাধ্য হয়েই অনেক দেশ লকডাউন শিথিল করার কথা ভাবছে। এ অবস্থা আমাদের মাননীয় প্রধান মন্ত্রীও আজ বলেছেন, আসন্ন রমজান মাসে কিছু কিছু ইন্ডাস্ট্রি খুলে দেওয়া হবে। অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে, শুধু ইন্ডাস্ট্রি নয়; বাধ্য হয়ে সবই খুলে দিতে হবে। নতুবা করোনার চেয়ে হাজার হাজার গুণ বেশি মানুষ হতাশা, পেরেশানি, আতঙ্ক আর না খেয়ে মারা যাবে। খুব দ্রুতই সরকারকে লকডাউন শিথিল করতে হবে। এমতবস্থায় করণীয়? এজন্য যা করতে হবে__ ১. সবমহলের ইতিবাচক বোদ্ধা মানুষদের নিয়ে বৈঠক ২. চিকিৎসাধারাকে আরও শক্তিশালী করণ ৩. প্রত্যেকের কর্মস্থলকে কোয়ারেন্টাইনের রূপ দেওয়া যতটুকু সম্ভব। ৪. হাটবাজারের জন্য নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ। এখন যেমন চলছে। ৫. যারা জটিল রোগে আক্রান্ত তাদেরকে সম্পূর্ণ অবসরে রাখা। ৬. প্রাথমিক চিকিৎসা__যা আমরা এখন গ্রহণ করছি__বেশি বেশি বার বার গরম পানি পান, ভিটামিন সি ই গ্রহণ, বার বার হাত ধোয়া, মাস্ক ব্যবহার, এগুলোকে অপরিহার্য করা। ৭. কর্মস্থলকে জীবাণুনাশক দ্বারা সকাল সন্ধা পরিস্কার করা। ৮. গণ তওবার ব্যবস্থা করা। তা যে কোনো উপায় হতে পারে। ৯. সবাইকে সকাল সন্ধা কমপক্ষে ১০০ বার ইস্তেগফার ও ১০০ বার দুরুদ পাঠের জন্য তারগিব দেওয়া। ১০. সকল প্রকার ভীতিকর সংবাদ প্রচার বন্ধ করতে হবে। আতঙ্ক ছড়ানো যাবে না। এবার ১ টা জটিল তথ্য শেয়ার করি। এর আগেও হয়তো বলেছিলাম। মনে রাখবেন, মরণ এতো সহজ নয়। আল্লাহর নির্দেশ ব্যতীত কোনো প্রাণীমিরতে পারে না। এটা মুমিমের আকিদা। এ ব্যপারে সামান্য সন্দেহ থাকলে ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে। তাই মনোবল শক্ত রাখতে হবে। মৃত্যু পরিসংখ্যান হলো, পৃথিবীতে বছরে ৫ কোটি ৬০ লাখ লোক মারা যায়। বাংলাদেশে প্রতি বছর ২১ লাখ লোক মারা যায়। নরমাল ডেথ যেটাকে বলা হয়। কিছু কমবেশি হতে পারে। এর মানে হলো, মাসে ৪৬ লাখ লোক স্বাভাবিক মারা যাচ্ছে। বাংলাদেশে মাসে দেড় লাখ। প্রতিদিন ৫ হাজার কমবেশি। এটা প্রথম আলো ও ওয়াল্ড পপুলেশনের রিপোর্ট। আর সদ্য আইইডিসিআর বলেছে, প্রতিদিন বাংলাদেশে ২৫০০ মানুষ মারা যায়। বিভিন্ন কারণে মানুষ মারা যায়। যা বাহ্যিক কারণ। মূল কারণ ঐ একটাই, মৃত্যুক্ষণ ঘনিয়ে আসা। মরণ এলে পৃথিবীর সকল শক্তি বিলীন হয়ে যায়। অাচ্ছা, এটা তো আমরা কমবেশি সকলেই জানি, বাংলাদেশে সড়ক দূর্ঘটনায় প্রতিদিন গড়ে ২১ জন মারা যায়! তাই বলে গাড়ির যাত্রী কি কখনো কমেছে।?! করনো তো সামান্য একটা জীবাণু। এর চেয়ে হাজার হাজার বড় বড় জীবাণুর মাঝে আমরা নিয়মিত বসবাস করছি, তাকি আমরা জানি। তাই আসুন, মৃত্যুকে নয়, গুনাহকে ভয় করি। মুমিন তো সর্বদা মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থাকবে। মৃত্যু মুমিমেন জন্য উপহার।
একটি সদকায়ে জারিয়া প্রজেক্ট
#একটি_সদকায়ে_জারিয়া_প্রজেক্ট মাসে প্রয়োজন ১২০ বস্তা। বছরে মোট প্রয়োজন ১৪৪০ বস্তা। চালের জাত : ২৮ মিনিকেট। মূল্য প্রতি বস্তা : ২৫০০-৩০০০৳ মুহতারাম/মুহতারামা, আপনি অবগত আছেন, “মারকাযু শাইখিল ইসলাম আল মাদানী ঢাকা” দেশের বিজ্ঞ ওলামা মাশায়েখের তত্ত্বাবধানে...